আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমুল কংগ্রেসের দুই শিবিরের সভা হেলেঞ্চায়


হট রিপোর্ট(বাগদা) ঃ-
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০১৬কে সামনে রেখে বাগদার তৃণমুল কংগ্রেসের দুই শিবিরই পৃথক পৃথক ভাবে সভা-সমাবেশ ও মিছিল করে বনগাঁ লোকসভার তৃণমুল কংগ্রেস প্রার্থী কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের পক্ষ্যে নির্বাচনী কার্য্যক্রম শুরু করে দিল৷ বনগাঁ লোকসভার প্রার্থী কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরকে বিপুল ভোটে জেতাবার লক্ষ্যে মাঠে নামলেও একপক্ষ অপর পক্ষকে সমালোচনার বানে বিঁধতে মোটেও কারপন্য করেনি৷ গত ১৭ই মার্চ্চ হেলেঞ্চা হাই স্কুল মাঠে সভাকরে তৃণমুল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দীলিপ ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তরুন ঘোষ, প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর, পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত্য কর্মাধক্ষ্য কার্ত্তিক বাইন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য প্রতিমা রায় প্রমুখেরা এবং ২০শে মার্চ্চ হেলেঞ্চা কো-অপরেটিভ চত্তরে সভাকরে যুব তৃণমুল কংগ্রেসের আঞ্চলিক নেত্রী মাধুরী সরকার, যুবনেতা বাপি সরকার, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমুল নেতা পরিতোষ সাহা, যুব তৃণমুল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তুলসী বিশ্বাস প্রমুখেরা৷ উভয় পক্ষই সভা শেষে হেলেঞ্চা বাজারে পৃথক পৃথক মিছিল বের করেন৷ গত ১৭ই মার্চ্চ হেলেঞ্চা হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মী সভায় বক্তব্য দান কালে প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর বলেন, পার্টিকে উপযুক্ত মর্য্যাদা না দিলে আমরা ব্যাক্তি পুজা করতে রাজি নই, মমতা ব্যানার্জির ফটো বিক্রীকরা তৃণমুল, টাউটার তৃণমুল, মিথ্যা মামলা দায়ের করা তৃণমুল, এদেরকে তৃণমুলের নামে ব্যাবসা করতে বা ফায়দা তুলতে দেব না৷ বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য কার্ত্তিক বাইনও তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, “ভোটে জিতে আজ আমরা পাগলু পাগলু আর দল চালাবেন বাংলু বাংলু তাহবেনা তাহবেনা”, বিপুল ভোটে ফেল করা ব্যাক্তিরা বাগদা পঞ্চায়েত সমিতি চালাতে পারেনা, দল নিয়ে ব্যাবসা করা চলবে না, তিনি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, ব্যাক্তি প্রচার নয় তাঁরা নেত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রচার করছেন বলে জানান৷ অপর দিকে গত ২০শে মার্চ্চ হেলেঞ্চা কো-অপরেটিভ চত্তরে যুব তৃণমুল কংগ্রেসের হেলেঞ্চা আঞ্চলিক কমিটি আয়োজিত নির্বাচনী প্রচার সভায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমুল নেতা পরিতোষ সাহা বলেন হেলেঞ্চাতে নির্দলের একটা সংগঠন আছে কিন্তু সেটা কোন সমস্যা নয় গত বারের সাংসদ ১,২৭,৬১৮ ভোটে জিতেছিলেন এবারের প্রার্থী যেহেতু ঠাকুর পরিবারের সেহেতু ২ লক্ষের অধিক ভোটে তাঁকে জেতাবেন৷ মিঃ সাহা আরো বলেন, এই বিপুল ভোটে জেতাবার জন্য বেশী পরিশ্রম না করে শুধুমাত্র বাগদার বিধায়ক তথা পশ্চিম বঙ্গ সরকারের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যান মন্ত্রী ডঃ উপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রচার করলে ভোট পাওয়ার ব্যাপারটা আরো সহজ হবে৷ তিনি বলেন নির্বাচনের কার্য্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলাতে ১৫ সদস্যের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি হয়েছে, প্রত্যক অঞ্চলেও ১৫ থেকে ১৭ জনের নির্বাচনের কার্য্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিটি হবে বলেও জানান৷ মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমুল নেতা পরিতোষ সাহা বনগাঁ লোকসভার প্রার্থী কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করাতে ওই দিন থেকে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান৷ কিন্তু এলাকার জনমনে জিজ্ঞাসা, ভোটের আগে বাগদার তৃণমুল কংগ্রেসের দুই শিবিরের একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোড়াছুড়ির এ সমস্যা মিটবে তো ?
