ঢিল ছোড়া দুরত্বের মধ্যে দুই ধর্মাবলম্বীর দু’দুটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাগদায়


হট রিপোর্ট বাগদা উঃ২৪পরগণা ঃ-
উঃ২৪পরগনার বাগদাতে সাম্প্রদায়িক এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো আবারো৷ মাত্র ঢিল ছোড়া দুরত্বের মধ্যে দুই ধর্মাবলম্বীর দু’দুটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান রীতিমত মাইক ও সাউন্ড বক্স বাজিয়েই বেশ ধুমধামের সাথে নির্বিগ্নে সম্পন্ন হলো গত শনিবার বাগদা হাইস্কুল পাড়ায়৷ বাগদা হাইস্কুল মাঠে পূর্ব নির্ধারিত ভাবে রীতিমত মাইকে প্রচারের মাধ্যমে বাগদা ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের সংখালঘু সেল ইফতার সন্মেলনের আয়োজন করেছিলেন৷ ইফতার সন্মেলন উপলক্ষ্যে হাইস্কুল মাঠে একবারে পাঁচশত জন মুছল্লী যাতে ইফতার গ্রহন করতে সেইমত সুবৃহতঃ খাবার প্যান্ডের সহ বড়সড় মঞ্চের ব্যাবস্থাও ছিল৷ লম্বা তারের সাহায্যে শব্দধ্বনি দুরের মুসলিম ভাইদের কানে পৌছাবার জন্য মাইকের পর্য্যাপ্ত ব্যাবস্থাও ছিল৷ অপর দিকে পাকা রাস্তার ঠিক ওপারে নীলকমল দত্তের বাড়ীতে একই দিনে বাৎসরিক আদ্য শ্রাদ্ধ উপলক্ষ্যে চলছিল রীতিমত ডাঙ্কা পিটিয়ে উচ্চস্বরে হরিধ্বনি সহকারে মতুয়ানুষ্ঠান৷ এখানেও মাইক বক্সের ব্যাবস্থা ছিল৷ মতুয়ানুষ্ঠানটি অবশ্য আরো একদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিল, উক্ত ধর্ম্ম-অনুষ্ঠান দুটি একযোগে উচ্চ শব্দধ্বনি সহকারে চললেও কারো কোন প্রকার অসুবিধে হয়নি বলে জানাগেল৷ বাগদা ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের সংখালঘু সেলের নেতা আব্দুল হাকিম মণ্ডল জানালেন, যে যার ধর্ম করছে এতে তাঁদের ধর্ম পালনে কোন প্রকার বিঘ্ন হয়নি৷ তবে এক শ্রেনীর লোক তাদের ব্যাক্তি স্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে একটা অপপ্রচার করেছিল, যেহেতু ধর্ম্ম-অনুষ্ঠান দুটি একই সময়ে একযোগে এবং পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে.কারনে বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে, ঝামেলা এড়াতে ঠিক একারণেই এলাকার অনেক রোজাদার এই ইফতারী সন্মেলনে হাজির হয়নি৷ অপর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মতুয়া জানালেন, তাঁদের অনুষ্ঠানটি মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতি বারের মত এবারও হচ্ছে এবং সেটা নীলকমল বাবুর বাড়ীতেই হচ্ছে৷ তবুও থানা আপত্তি করেছিল, ওঁনাদেরকে আমরা বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি৷ তবে আশ্রমের কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে ইফতারী সন্মেলনের মাইক বাঁধার ব্যাপারে কিছু লোক আপত্তি করেছিল৷
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঃবঃ সরকারের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যান মন্ত্রী ডঃ উপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের আপ্ত-সহায়ক তন্ময় চক্রবর্তী, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা অধিকারী, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য নিমাই বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সদস্যা শিখা মণ্ডল সহ বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন কর্মাধক্ষ্য ও উপ.প্রধান অমুল্য হালদার, তৃণমুল নেতা নলিনী মণ্ডল, স্বপন বিশ্বাস, পরিতোষ সাহা, রঞ্জিত সরকার, মধুরী সরকার, মন্মথ বিশ্বাস, গৌতম বিশ্বাস, যুব নেতা বিষ্ণু বিশ্বাস, সঞ্জিত সরদার, ছাত্রনেতা আব্দুল কালাম, বিপ্লব সরকার প্রমুখ৷ বাগদার বিধায়ক তথা পঃবঃ সরকারের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যান মন্ত্রী ডঃ উপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাংসদ কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর, সাংসদ ইদ্রিস আলি, সভাধিপতি রহিমা মণ্ডল, বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সংখালঘু সেল নেতা শাহানোয়াজ হোসেন, তৃণমুল কংগ্রেসের জেলা কার্য্যকরী সভাপতি রতন ঘোষ, তৃণমুল নেতা গোপাল শেঠ প্রমুখের উজ্জ্বল উপস্থিতির কথা নিমন্ত্রন পত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখ থাকলেও তাঁরা হাজির হননি৷
