হট নিউজ : বাগদা, 'বাংলাতে এনআরসির মানছি না মানবো না', 'নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও' ইত্যাদি শ্লোগানের মধ্য দিয়ে বেশ জমিয়েই "দিদিকে বলো" কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হল এবার রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ডহরপোতা গ্রামে। এবারও নেতৃত্বে বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ সাহা। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রত্যেক ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে "দিদিকে বলো" কর্মসূচীর মাধ্যমে মানুষের সুবিধা, অসুবিধা, দাবী দাওয়ার বিষয়ে মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তাদেরকে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন উপস্থিত তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শতাধিক আঞ্চলিক নেতা কর্মীর অংশ গ্রহণে ডহরপোতা গ্রামে এই কর্মসূচী চলাকালে বাগদা পূর্ব ব্লক সভাপতি পরিতোষ সাহাকে সহযোগিতা করেন, বাগদা বিধানসভার অবজারভার রাম চন্দ্র বোস, জেলা পরিষদের সদস্যা অর্চনা বোস, রণঘাট পঞ্চায়েত প্রধান গনেষ রায়, বাগদা পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জলি রায়, উপপ্রধান সম্রাট মন্ডল, আঞ্চলিক সভাপতি গৌতম মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ্য কৃষ্ণ পদ দাস, জেলা এসসি এসটি ওবিসি সেলের জেলা সম্পাদক ইব্রাহিম মন্ডল, বাগদা বিধানসভা এসসি এসটি ওবিসি সেলের সভাপতি কিঙ্কর মন্ডল, এসসি এসটি ওবিসি সেলের আঞ্চলিক সভাপতি সমীর রায়, শিক্ষক নেতা শ্যামল সর্দার, মিত্তুন হালদার, শেখর বাবু প্রমুখ। উল্লেখ্য, রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ডহরপোতা গ্রামে "দিদিকে বলো" কর্মসূচী চলাকালে ওই গ্রামেরই পোড় খাওয়া সিপিএমের আঞ্চলিক নেতৃত্ব দাউদ মন্ডল প্রায় ২০০ সিপিএম কর্মী সহ নিজে বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ সাহার হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা গ্রহন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। দাউদ মন্ডল আরও বলেন, এত বছর সিপিএম করে তিনি ওই দলের নেতাদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা বা তার প্রাপ্য সম্মানটুকুও পাননি, তারপর ভারতবর্ষে সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে কেন্দ্র সরকারের এনআরসির নীতির বিপক্ষে প্রতিবাদ জানাতে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হাতকে আরও শক্তিশালী করতেই দলবল সহকারে তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে আসা। বাগদা পূর্ব ব্লক সভাপতি পরিতোষ সাহা বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত অবধি এবং পরদিন সকাল ১০টায় উক্ত এলাকায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এই কর্মসূচী সমাপ্ত হয়। ডোর টু ডোর এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের মধ্যে তাদের অনেক কাছে পৌঁছানোর সুযোগ হয়েছে, যা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ ভারতবর্ষে কেন্দ্র সরকার এনআরসির নামে যে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে বাংলার অগ্নি কন্যা মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জোরালো পদক্ষেপ ও বাংলায় উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হতে সীমান্তবর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত রনঘাটের ডহরপোতা গ্রামে কট্টর সিপিএমের কর্মীরাও হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। মমতা ব্যানার্জি হাতকে শক্তিশালী করতে তাদের ২০০ বামপন্থী স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা গ্রহনের মাধ্যমে পরিনত হল তৃনমূল কংগ্রেসের লড়াকু সৈনিকে।