দেহালদায় গৃহবধুর আত্নহত্যা

27/01/2014 07:49

হট রিপোর্ট বাগদাঃ-

               উঃ২৪পরগনা জেলার বাগদা থানার দেহালদা গ্রামে এক বধু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র পরিবেশ উত্তপ্ত হচ্ছে বলে গ্রাম সুত্রে জানা গেছে৷ সুত্রটি আরো জানিয়েছে, নেপথ্য থেকে তৃণমুলেরই দুই গ্রুপ মামলার বাদী এবং বিবাদী পক্ষে ও বিপক্ষে কাজ করছে৷ ২৪ ঘন্টা এখানে পুলিশ পাহারা রয়েছে তা-না হলে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে আরো বড় আকারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধার সম্ভাবনা ছিল৷ ঘটনার বিবরনে এই মামলারবাদী মৃতা ময়না দাস(৪২)এর স্বামী কিনারাম দাস জানান, বাগদা থানার কুড়ুলিয়া গ্রামের সন্দীপ মন্ডল(৩০)এর সাথে তাদের ধর্ম্ম আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিল সেই সুত্রে দু’পরিবারের মধ্যে যথেষ্ট আসা-যাওয়া ছিল সন্দীপ তার স্ত্রী ময়নাকে দিদি ডেকেছিল এবং তাদের মধ্যে ভাই বোনের সম্পর্ক্য ছিল৷ মৃতার স্বামী কিনারাম দাস আরো জানান, ঘটনার দিন ২৪ শে জানুয়ারী সন্ধ্যায় তার পড়শি শুকো, সমীরন, সুদীপ,  সহ বেশ কয়েক জন পড়শি তার বাড়িতে এসে তার স্ত্রী এবং ধর্ম্ম আত্নীয় সন্দীপকে বেদম মারপিঠ করে যা তিনি তাস খেলা সেরে বাড়ি এসে জানতে পারেন এবং তিনিও উক্ত ব্যাক্তিদের হাতে প্রোহিত হন ও তার গায়ে আঘাতের চিহ্নগুলি দেখান৷ এই দৃশ্য্ দেখে ৪ সন্তানের জননী তার স্ত্রী লজ্জা অপমান সহ্য করতে না পেরে ছুটে গিয়ে বাড়ীর পাশের জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত একটি তেজপাতা গাছে পরনের শাড়ীতে ঝুলে আত্নহত্যা করে প্রানের জ্বালা জুড়ান৷ মৃতার স্বামী কিনারাম দাসের ধর্ম্ম আত্নীয় সন্দীপ মন্ডল তার গলায় ফাসের দাগ দেখিয়ে জানান, ঘটনার দিন উক্ত ব্যাক্তিরা তাকেও আটকিয়ে রেখে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করেছিল৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য কয়েক জন গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ৩ বছর ধরে ওদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল এতে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল তাই গ্রামের কিছু লোক প্রতিবাদ করাতে ময়না দাস তার মেয়ে জামাইদের সামনে মুখদেখাতে পারবে না তাই আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে৷ অপর কয়েক জন গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ময়না দাসের নামে অদ্যবধি তারা খারাপ কিছু শোনেননি বা দেখেনও নি৷

           জানা গেছে, মামলার সব আসামী পালাতক, পুলিশ কযেকজন গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছিল কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত না হওয়ায় পরে ছেড়ে দেয়৷কিন্তু লক্ষন দাসের স্ত্রী অনিমা দাস এর বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত হওয়ায় তাকে আটক করা হয়৷