ধূমধামের সাথে বট অশ্বত্থের বিয়ে হরিহর পুরে



হট রিপোর্ট(বাগদা)ঃ-
বিপুল উৎসাহ ও উন্মাদনার মধ্যদিয়ে বেশ ধূমধামের সাথে বাগদা ব্লকের হরিহর পুরে অনুষ্ঠিত হলো বট ও অশ্বত্থ গাছের বিয়ে৷ উক্ত বিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য বাগদা ও রণঘাট অঞ্চলের সকল জনসাধারণকে মাইক প্রচারের মাধ্যমে সবিনয় অনুরোধ জানান এই বিয়ের অন্যতম কর্ণধর কনে তথা অশ্বত্থ গাছের ভাই প্রদীপ গুড়ীয়া ও বর তথা বট গাছের পিতা অজিত সরকার৷ গত ১লা মে লক্ষ্যাধিক টাকা ব্যায়ে সাধারণ মানুষের মতই অত্যধুনিক বাদ্যযন্ত্র (বক্স,মাইক,তাসা)সহকারে নৃত্য করতে করতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ‘জলসাধা’ পাত্র(বটবৃক্ষ) পাত্রীর(অশ্বত্থবৃক্ষ) আশীর্ব্বাদ করা, দুই পক্ষ্যেরই আশীর্ব্বাদ দানকারী ও উপস্থিত সভ্য বৃন্দের যথাপযুক্ত আাপ্যায়ন এবং ওই দিন গোধূলী লগ্নে রীতিমত ব্রাহ্মনের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যদিয়ে বট ও অশ্বত্থ গাছের বিয়ের কার্য্য সম্পন্ন হলো৷ বিয়ের পর বরযাত্রী ও সহস্রাধিক উপস্থিত সভ্য বৃন্দের নিরামিশ ভোজন করান কনের ভাই প্রদীপ গুড়ীয়া৷
উল্লেখ্য, বট ও অশ্বত্থের বিয়ে কেন দেওয়া হলো? এই প্রশ্নের জবাবে পাত্রপক্ষ অজিত সরকার বলেন, ২০ বছর বয়েসে তার এক লায়েক পুত্র মারা যায় তারই স্মৃতি রক্ষার্থে তিনি বেত্রাবতী নদীর ধারে হরিহর তে-মাথায় তিনি প্রথমে একটি বটবৃক্ষ রোপন করেন পরে ষষ্টি পুজার সুবিধার্থে এবং কন্যাহীন মা কৃষ্ণা গুড়ীয়ার অনুরোধে একই জায়গায় আরেকটি অশ্বত্থবৃক্ষও রোপন করেন৷ তারপর থেকে বট গাছ ও অশ্বত্থটিকে একই গ্রামের অজিত সরকার ও কৃষ্ণাদেবী সন্তান স্নেহে পরিচর্য্যা করতে থাকেন৷ অপর দিকে কৃষ্ণাদেবী ছেলে প্রদীপ গুড়ীয়া(৩০)নিজে বিয়ে করতে পারছে না কারন তার বোনের(অশ্বত্থবৃক্ষ)বিয়ে হয়নি বলে৷ সে কারনে কনের ভাই প্রদীপ গুড়ীয়া আয়োজনের কোন রকম ত্রুটি না রেখে লক্ষাধিক টাকা স্বতস্ফুর্ত ভাবে একাই খরচ করেছেন৷ এখানে আরেকটু উল্লেখ্ না করলে অপরাধী মনে হয় কনের ভাই প্রদীপ গুড়ীয়া সিঁদুর দানের জন্য যে সোনার আংটি টি দান করেছিলেন সেটাও সিঁদুর দান শেষে তার ভগ্নিপতি বটবৃক্ষের শরীরে ছিদ্র করে গেড়ে দেওয়া হয়৷ গাছকে একান্ত আপন ভেবে পাত্র কণ্যা পক্ষ্যের এই ত্যাগ এলাকায় এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো৷
