প্রফেসর ছেলের বাবা কে সৎকারের জন্য নবদ্বীপে নিয়ে যেতে চাইলো গ্রামবাসীরা

18/07/2017 02:35

অনিমা মুন্ডা, মশ্যমপুর, বাগদা - ছেলে সরকারি কলেজের প্রফেসর, স্ত্রী অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী অথচ মৃত ব্যক্তির পাশে শুধুই আজ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গ্রাম বাসীরা। প্রফেসর ছেলের বাবার মরদেহ সৎকারের জন্য নবদ্বীপেও নিয়ে যেতে চেয়েছিল গ্রামবাসীরা কিন্তু শেষমেষ প্রফেসর ছেলে বিশ্বজিত সরকার তার কয়েক জন বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাগদা হাসপাতাল থেকে জামিনী বাবুর মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে না এনে সরাসরি বনগাঁর খয়রামারী শ্বশানে দাহ করে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি বাগদার বাণেশ্বর পুরের। হতভাগ্য বাবাটি পেশায় টেইলার মাষ্টার তার নাম জামিনী সরকার বয়স ৫৬ বছর৷ ছেলে নাকি মৃত ব্যাক্তিকে বাবা বলে স্বীকারই করে না । কারন উনি নাকি জন্মই দিয়েছেন কিন্তুু বাবার কোন কর্মই করেননি। কিন্তুু গ্রাম বাসিদের বয়ান সম্পুর্ণ উল্টো ৷ তাদের বক্তব্য জামিনী বাবুই নাকি বার বার স্ত্রী পুত্র কত্তৃক প্রতারিত হয়েছেন৷ জামিনী বাবুর শ্বশুর শিক্ষক হরিপদ জোয়াদ্দার তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি তাঁর একমাত্র জামাতাকে দেবেন এই শর্তে জামনী ও কৃষ্ণবর্ণা মিনাক্ষীর বিয়ে হয়৷ দুই সন্তানের জননীও হয় অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী মিনাক্ষী সরকার৷ শেষ পর্যন্ত কথা রাখেননি শ্বশুর৷ সম্পত্তি ও নগত টাকার মালিক হন মেয়ে মিনাক্ষী৷