বাগদা কো-অপরেটিব ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির সদস্য পদের নির্বাচনে জয়ী টি.এম.সি
হট রিপোর্ট, বাগদা: বাগদা লার্জ্জ-সাইজ্ড কো-অপরেটিব ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির সদস্য পদের নির্বাচনে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর বামফ্রন্টকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে হারিয়ে এই প্রথম তৃণমুল কংগ্রেস জয়ী হলো৷ উক্ত ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির ৫৭ জন নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে তৃণমুল কংগ্রেস ৪৬টিতে এবং বামফ্রন্ট ১১টিতে জয়ী হয়েছে বলে জানা গেছে৷ গত ২২শে জুন নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা অবধি কো-অপরেটিব ব্যাংক চত্তরে কড়া পুলিশি ব্যাবস্থায় রীতি মত ১৪৪ ধারা জারি করেই পরিচালনা কমিটির সদস্য পদের ভোট গ্রহন পর্ব শুরু হয়৷ বেলা ২টার দিকে সিপিএমের জেলা পরিষদের সদস্য কমরেড় সুশান্ত চক্রবর্তী (শানু) জানান, নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের গাড়ী থামিয়ে দু’দলের কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, গ্রামে গ্রামে হুমকি ও সন্ত্রাস, ধাক্কা-ধাক্কির মত ছোট-খাট ২/১টা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটা ছাড়া ভোট গ্রহন শান্তি-পুর্ন বলা চলে৷ তিনি আরো জানান, প্রশাসনের দিক থেকে রিগিং, ছাপ্পা ভোট ও অসহযোগীতার কোন অভিযোগ তাঁর নেই, তবে বাগদা বুথ সহ ২/১ টা বুথে তৃণমুলের লোকজন বেশ দাপটের সাথে কম্পেনিয়ন ভোট দিয়ে নিচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ৷ বেলা ২টার পরে পুলিশের সহায়তায় তৃণমুল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা রিগিং করে জোর পূর্ব্বক ছাপ্পা ভোট দিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বামফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা ভোট বয়কট করে ভোট কেন্দ্র পরিত্যাগ করে৷ এ ব্যাপারে বেলা ২টার ৩০মিনিটের দিকে তৃনমূল কংগ্রেস নেতা ও কো-অপরেটিব ব্যাংকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তৃনমূল কংগ্রেসের দায়িত্ত্ব পুর্ণ নেতা পরিতোষ সাহা জানান, বেল ২টার দিকে বামফ্রন্টের নেতারা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে রিগিং করে জোর পূর্ব্বক ছাপ্পা ভোট মারার চেষ্টা করলে তৃনমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করে৷ মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বামফ্রন্টের সদস্যরা যখন দলে দলে তৃনমূলে যোগ দিয়ে কো-অপরেটিব ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির সদস্য পদের ভোটে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতাতে ঐক্যবদ্ধ, তখন তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের পরাস্থ করতে রিগিং আর ছাপ্পা ভোট দেওয়া ছাড়া বামপন্থীদের আর কোন উপায় ছিলনা৷ আর সেটা না করতে পেরে ভোট গ্রহন পর্বের ৪ ঘন্টার মধ্যে ৩ ঘন্টারও অধিক সময় অতিবাহিত হবার পর নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনেই ওরা ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেছে৷ বাগদা গ্রাম পঞ্চায়তের উপ-প্রধান অমুল্য হালদার জানান, নির্বাচন কেন্দ্রের চারপাশে যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি ছিল, ছিল অজস্র পুলিশের কড়া প্রহরা, সে-কারনে শুধু মাত্র বয়স্ক ও অশিক্ষিত ভোটারদের প্রতিনিধি ছাড়া কোন বহিরাগতই ভিতরে ঢুকতে পারেনি, কো-অপরেটিব ব্যাংকের নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠ বামপন্থী ভোটাররা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছে দেখে নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের কথা ভেবে ওরা ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেছে৷ সদ্য সমাপ্ত বাগদা লার্জ্জ-সাইজ্ড কো-অপরেটিব ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির সদস্য পদের নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রিগিং আর ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগে ও নির্বাচনের বৈধতার ব্যাপারে বামফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা আইন গত ব্যাবস্থা নেবে বলে জানা গেছে৷
