বয়রায় মৃত স্বরজিত সন্দেহের তীর বিএসএফের দিকে







হট রিপোর্ট (বাগদা)ঃ-
বাগদা থানার সীমান্ত সংলগ্ন বয়রা সলক জামতলায় চোরচালানী সন্দেহে রাতে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাস্তার উপর পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ আনলো বিএসএফের তিন জওয়ানের বিরুদ্ধে মৃত স্বরজিত দাস(৪০)এর স্ত্রী শোভা দাস৷ শোভা দেবীর অভিযোগ ২৬ ব্যাটলিয়নের ডিআইবি জগজীবন বাবু সহ মোট তিন বিএসএফ গত শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তার স্বামীকে সাদা রংএর জিপসী গাড়ীতে করে তুলে নিয়ে গিয়ে পাকা রাস্তার উপরে বেধড়ক পেটাতে থাকে৷ বিএসএফের অমানসিক নির্যাতনে তার স্বামী সঙ্গাহীন হয় এবং তার নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তপাত হতে দেখে বিএসএফের জওয়ানেরা স্বরজিত দাসের সঙ্গাহীন দেহ রাস্তার উপর ফেলে রেখে জিপসী নিয়ে পালিয়ে যায়৷ পরে মূত প্রায় স্বরজিত দাসেকে বাগদা হাসপাতালে আনার কিছুক্ষনের মধ্য সে মারা যায়৷ মৃত স্বরজিত দাসের ছেলে বিশ্বজিত দাস ও মেয়ে সুষমা দাস জানায় তার বাবা আগে নিষিদ্ধ কাফ সিরাফের ব্যবসা করতো কিন্তু বর্তমানে করেনা তবুও বিএসএফের হুমকি চলতো সর্ব্বদা সে কারনে তাদের বাবা রাতে অন্য লোকের বাড়ীতে ঘুমাতো৷ স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, স্বরজিত দাসেকে আগে কাফ সিরাফের ব্যবসা করতে দেখা যেত বর্তমানে চোখে পড়েনা তাকে এখন মাঠের কাজ করতেই দেখা যায়৷ ঘটনাস্থল সলক জামতলার রাস্তার ধারে বসবাসকারী অঞ্জনা হালদার জানিয়েছেন ঘটনার দিন রাতে তারই বাড়ীর পাশে পাকা রাস্তার উপর স্বরজিত দাসেকে একটা সাদা গাড়ীতে আসা তিন বিএসএফ কে পেটাতে দেখেছেন বেড়ার ফাঁকা দিয়ে৷ আন্না দও প্রথমে মুখ খুলতে ভয় পেলেও জানালেন, স্বরজিত দাসের হত্যাকারি বি.এস.এফই৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বয়স্ক জটাধারী মহিলা জানালেন স্বরজিত দাসেকে খুজতে বিএসএফরা রাতে তাদের ঘরের মধ্য ঢুকে পড়েছিল, বিএসএফের পায়ের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তিনি রাতে এভাবে না জানিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকার প্রতিবাদও করে বলেন এখানে তাঁর শেয়ানা নাতনী সহ মেয়েমানুষরা রয়েছে৷ এর জন্য বিএসএফরা মহিলার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন৷ স্বরজিতের ভাই সুভাষ দাস, রবিন্দ্র নাথ বিশ্বাস, গনেষ বিশ্বাস প্রমুখরা জানিয়েছেন, ২৬ ব্যাটলিয়ন আসার পর থেকে কারনে অকারনে তাদেরকে বিএসএফ কত্তৃক নির্যাতিত হতে হয় যেটা পুর্বে ছিল না৷ স্বরজিত দাস হত্যার দায় বিএসএফ অস্বীকার করেছেন৷
এ ব্যাপারে মৃত স্বরজিতের স্ত্রী শোভাদবী বাদী হয়ে বাগদা থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মামলা নং ইউ.ডি কেস নং ২৩/১৪ তাং ১৭ই মে৷
