মহিলা তৃণমুল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙ্চুর হেলেঞ্চায়

24/05/2014 13:11

হট রিপোর্ট(বাগদা)ঃ-

             যুব তৃণমুল কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে অংশ গ্রহনকারী কত্তৃক মহিলা তৃণমুল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙ্চুর ও দল নেত্রী মমতা বন্দপাধ্যায়ের ও সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমুল কংগ্রেস থেকে নব-নির্বাচিত সাংসদ মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের ছবি সহ ফ্লেক্স ছিড়ে পদদলিত করে আগুন ধরিয়ে দেবার চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেল বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চাতে৷ এ ছাড়াও মহিলা তৃণমুল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিল ভাঙ্চুর, আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজ ও পার্টি অফিস বন্ধের অপ্রত্যাশিত হুমকি দিয়েছে বলে জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতিকে লেখা বাগদা বিধানসভা মহিলা তৃণমুল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিমা রায়ের দরখাস্ত থেকে জানা গেছে৷ প্রতিমা রায় আরও জানিয়েছেন সমগ্র ঘটনাটি চন্দন সরকার(বাপী)এর নেত্তৃত্বে সংঘটিত হয়েছে৷ তিনি চন্দন সরকার(বাপী)কে নব্য তৃণমুল এবং প্রাক্তন DYFI নেতা আখ্যা দিয়ে বলেন তিনি নাকি বহু অপকর্মের নায়ক৷ অপর দিকে তৃণমুল কংগ্রেসের যুবনেতা চন্দন সরকার(বাপী)কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, প্রতিমা রায় তৃণমুল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বর্তমান দল বিরোধী একাধিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সাথে জড়িত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি বিজেপির হয়ে প্র্রচার করেছেন, তাই স্থানীয় জনগন ধৈর্য্য রাখতে না-পেরে তার অফিসে টাঙ্গিয়ে রাখা প্রতিমা রায়ের ছবি সম্বলিত তার নিজের দলীয় পদের ফ্লেক্সটিই ছিড়ে ফেলেছে ঠিকই কিন্তু নেত্রী মমতা বন্দপাধ্যায়ের ও সাংসদ কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের ছবি ছেড়া বা পুড়িয়ে ফেলার গল্পটি সম্পুর্ন বানোয়াট৷ বাপী সরকার আরো বলেন নেত্রী ও সাংসদের ছবি ছেড়া বা পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটলে থানা পুলিশ হতো না? মিথ্যা ঘটনা, প্রমান করতে পারবে না, তাই পুলিশ অবধি যেতে সাহস হয়নি৷ সাংসদ কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর হেলেঞ্চার তৃণমুল কংগ্রেস সমর্থক, নেতা, কর্মীরা তাদের আবেগ ধরে রাখতে পারিনি, তারা দলে দলে এসে বিজয় মিছিলে অংশ না-নিয়ে পারিনি৷ সবুজ আবিরে আবিরে রঙ্গীন ওই বিজয় মিছিলে কি তৃণমুল নামধারী বিজেপি সমর্থকদের দেখা গেছে? প্রশ্ন চন্দন সরকার(বাপী)এর৷